সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সাথে গুয়াতেমালার Cultural and Natural Heritage বিষয়ক ভাইস মিনিস্টারের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ , ৭:৩৫ অপরাহ্ণ


সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মেক্সিকো সিটির Los Pinos- এ গতকাল UNESCO World Conference 2022- এ অংশগ্রহনরত সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং গুয়াতেমালার Cultural and Natural Heritage বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার Mario Roberto Maldonado Samayoa বৈঠক করেন। বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে বহুগুণ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ কয়েক দশক ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য প্রেরণকারী শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর অন্যতম। বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, লৈঙ্গিক সমতা এবং টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বের নিকট উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার দ্বার হিসেবে বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের একটি অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল ও প্লাস্টিক শিল্পের সুখ্যাতি রয়েছে। আইসিটি শিল্পও ক্রমবর্ধমান। তিনি আরো বলেন, গুয়াতেমালা হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় এলাচ উৎপাদনকারী দেশ, যা বাংলাদেশি রন্ধনশালায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। দেশটি চকলেটবারেরও উদ্ভাবক। কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ ও গুয়াতেমালা উভয় দেশই সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী। বর্তমানে বাংলাদেশ ও গুয়াতেমালার মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা নগণ্য। অদূর ভবিষ্যতে যাতে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করা যায় সেজন্য তিনি দ্বিপাক্ষিক সাংস্কৃতিক সহযোগিতায় একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার প্রস্তাব দেন।
গুয়াতেমালার ভাইস মিনিস্টার সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সাথে একমত পোষণ করেন। তিনি সাংস্কৃতিক সহযোগিতার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগকেও কাজে লাগানোর আহবান জানান। এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী সহ বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন।

[wps_visitor_counter]