সিডনি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:সিডনিস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’ ও শহিদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উদ্যাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার সিডনির কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সিডনিতে বসবাসকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃস্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে সারা দেশে একযোগে এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে পালিত হচ্ছে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ, শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শেখ রাসেলসহ জাতির পিতার পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত, দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, শেখ রাসেলের জীবনের ওপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান। এরপর শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে শিশু শিল্পীরা তাদের গান, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশনা দিয়ে আগত অতিথিদের মুগ্ধ করে। কনসাল জেনারেল মোঃ শাখাওয়াত হোসেন তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি শহিদ শেখ রাসেলের জীবনের স্মৃতিচারণ করে তার প্রতি গভীর ভালোবাসা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, শেখ রাসেলের আজ ৫৯তম জন্মদিন হলেও সমগ্র বাংলাদেশের শিশু-কিশোর ও তরুণদের নিকট রাসেল এখনও সেই ছোট রাসেল হিসেবেই পরিচিত। এ বছরে শেখ রাসেল দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ যথাযথ হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ আমাদের সকলের হৃদয়কে গভীরভাবে মর্মাহত করে। তিনি এই শোককে শক্তিতে পরিণত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু-কিশোর-তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে এবং বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে একতাবদ্ধ হয়ে সকলকে কাজ করে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত শিশু-কিশোরদের নিয়ে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদেরকে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়। সিডনিস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট ছাড়াও ব্রুনাইতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন, মুম্বাইয়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয়েছে।