কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১০:৫৭ অপরাহ্ণ

কলকাতা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মঙ্গলবার পালিত হলো মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩’।
একুশের শুরুতে উপ হাইকমিশন চত্বরে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করণের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা অর্ধনমিত করেন উপ হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। এরপর ভাষা শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ১ মিনিট নীরবতা পালন, মিশন প্রাঙ্গণে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন আয়োজিত প্রভাতফেরি শুরু হয়। প্রভাতফেরিটি ‘বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্র’ থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন চত্বরে এসে শেষ হয়। এ প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করেন কলকাতার কবি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীগণ এবং বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী। প্রভাতফেরি শেষে উপ হাইকমিশন চত্বরে অবস্থিত শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান ‘ভাষা শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর গুরুত্ব তুলে ধরতে আজ বিকেলে উপ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস তাঁর বক্তব্যে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন যে, বঙ্গবন্ধু বাঙালি ভাষা ও সংস্কৃতি-ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নেতৃত্বেই ‘৫২-এর প্রেরণায় আমরা পেয়েছিলাম ‘৭১ এর স্বাধীনতা। জাতিসংঘ কর্তৃক ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় নেতৃত্ব প্রদানের জন্য উপ-হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উপ-হাইকমিশনার পৃথিবীর সকল মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন যে, মাতৃভাষা চর্চার মাধ্যমে একটি জাতি, একটি সমাজ অগ্রসর হতে পারে। আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন কলকাতা প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট স্নেহশীষ সুর এবং একুশে পদক জয়ী মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন। আলোচনা সভার পর কলকাতায় বিভিন্ন কনস্যুলেট প্রতিনিধিগণ তাদের নিজ নিজ ভাষায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা চমৎকার সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।

[wps_visitor_counter]