কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন

প্রকাশিত : মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১০:৫৫ অপরাহ্ণ

কায়রো, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস দুই দিনব্যাপী কয়েক পর্বে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন করেছে। ২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে দিবসের কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভা। রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসীদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। অতঃপর দিবসটির তাৎপর্যের ওপর আলোচনা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে পবিত্র রমজান মাস আগমনের প্রাক্কালে ২০ মার্চ ২০২৩ তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় স্থানীয় ৫-তারকা হলিডে ইন হোটেল-এ । বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশিগণ ছাড়াও মিসরের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন সরকারি ও আধা-সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিকবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বগণ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অংশগহণ করেন। সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রী ছিলেন প্রধান অতিধি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ এসাম শরাফ এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমর মুসা ছিলেন গেস্ট অভ্‌ অনার। মিসর সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য প্রদান করেন । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল শহিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। দু’দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর রাষ্ট্রদূত তার স্বাগত বক্তব্যে ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তাঁর বক্তৃতায় জাতির পিতার আদর্শের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ ও মিসরের ঐতিহাসিক এবং বর্তমান সুসম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে তিনি জানান, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতিতে উন্নীত করতে বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করেন। এ বৎসর মিসর-বাংলাদেশ কূটনৈতিক-সম্পর্ক স্থাপনের সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বিষয়ে ঘোষণা প্রদান করেন। সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস অনুষ্ঠানে বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং মিসর-বাংলাদেশ সম্পর্ককে নূতন পর্যায়ে উন্নীত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অতঃপর রাষ্ট্রদূত সম্মানিত অতিথিবর্গ, মন্ত্রীবর্গ এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে নিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-এর কেক কাটেন । অনুষ্ঠান শেষে সকল অতিথিদের সান্ধ্য খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।

[wps_visitor_counter]