ইসলামাবাদে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন

প্রকাশিত : মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১১:১৯ অপরাহ্ণ

ইসলামাবাদ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে দূতালয় প্রাঙ্গণ বর্ণাঢ্য ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে সুসজ্জিত করা হয়। রবিবার সকালে দূতালয় প্রাঙ্গণে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী। এসময় সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর হাইকমিশনার সকলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদ স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য, গুরুত্ব ও বাঙ্গালী জাতির স্বাধিকার আন্দোলনে জাতির পিতার অবদান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদ এবং সম্ভ্রম-হারা ২ লক্ষ মা-বোনসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। হাইকমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ধানমন্ডির বাস ভবন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এবং বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েই বাঙ্গালিরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, শুরু করেছিল সশস্ত্র সংগ্রাম। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার এ সংগ্রামে লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাসে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তার অপরিসীম সাহস, দৃঢ়চেতা মনোভাব ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে বাঙালিদের সংগ্রামী হওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। সবশেষে হাইকমিশনার সকল ভেদাভেদ ভুলে জাতির পিতার অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে যার যার অবস্থানে থেকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

[wps_visitor_counter]