আওয়ামী লীগ জনগণের দল : আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি

প্রকাশিত : আগস্ট ২১, ২০২২ , ৮:৫১ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে সরকার গঠন করেছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণের ভোটে সরকার গঠন করবে ইনশাআল্লাহ। এজন্য অন্য কোনো কিছুর ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, তৎকালীন পূর্ব বাংলার অনেক বড় বড় নেতা পাকিস্তানের সামরিক জান্তাদের সাথে আপস করলেও বঙ্গবন্ধু কখনও আপস করেননি। এজন্য পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে ভয় পেতেন। বঙ্গবন্ধুকে ভয় পাওয়ার যুক্তিও ছিল। বঙ্গবন্ধু সবসময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন। তিনি গেরিলা যুদ্ধে বিশ্বাস করতেন না। ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না। তিনি সবসময় জনগণকে সাথে নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে বিশ্বাসী ছিলেন। কারণ তাঁর ছিল প্রবল দেশপ্রেম এবং ছিল জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসা, বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মন্ত্রী দুঃখ করে বলেন, পাকিস্তানের সামরিক জান্তারা যাকে হত্যা করার সাহস পায়নি, সেই বঙ্গবন্ধুকে আমরা হত্যা করেছি। এই কলঙ্ক আমরা কোনোদিন মোচন করতে পারবো না। আনিসুল হক বলেন, জাতির পিতার আদর্শ, দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আত্মমর্যাদার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমরা বর্তমানে কঠিন সময় পার করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই কঠিন সময় অবশ্যই আমরা মোকাবিলা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তাঁর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারবো। আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুক, সুপ্রীম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ গোলাম রাব্বানী, অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম ও কাজী আরিফুজ্জামান, উপসচিব শেখ গোলাম মাহবুব ও গাজী কালিমুল্লাহ বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

[wps_visitor_counter]