স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ খাতের সক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে

প্রকাশিত : এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১০:০৩ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাতীয় অগ্রগতিতে এ খাতের অবদান অপরিসীম। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করতে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের সক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। টেলিযোগাযোগ খাতের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সরকার এবং টেলিযোগাযোগ খাতের অংশীজনদের সম্মিলিত উদ্যোগে ফলপ্রসূ ভূমিকা গ্রহণের বিকল্প নেই। প্রতিমন্ত্রী রবিবার (০৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে টেলিযোগাযোগ রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য টেলিকম ট্যাকসেশন বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ, এমটব সভাপতি ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তৈমুর রহমান, রবি আজিয়াটার চিফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোহাম্মদ সাহেদুল আলম, এফআইসিসিআই এর নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাব্বির এবং টিআরএনবি সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামান রবীন বক্তৃতা করেন। টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাইজেশন হচ্ছে বাংলাদেশের অগ্রগতির লাইফ লাইন। এর ধারাবাহিকতায় টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত হচ্ছে ব্যক্তিগত থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনের অপরিহার্য একটি বিষয়। আগামী জুনে যে জাতীয় বাজেট উপস্থাপিত হবে তার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আইসিটি খাতের কর হার স্মার্ট-ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রসারিত করা, সেবার মান উন্নয়ন এবং নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ বিনিয়োগ বান্ধব করার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার দাবি রাখে। আমি মনে করি আইসিটি খাতে করের সংস্কার হলো একটি অত্যাবশ্যকীয় নীতিগত সংস্কার যা বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের আওতা বৃদ্ধি করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে দেশে তিনটি মোবাইল অপারেটরকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের মনোপলি ব্যবসা ভেঙ্গে দিয়ে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়া হয়। ভিস্যাটের মাধ্যমে চালু হয় ইন্টারনেট। এরই ধারাবাহিকতায় এ খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আর্কিটেক্ট অভ্ ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরিকল্পনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে অভাবনীয় দৃষ্টান্তই স্থাপন করেনি বরং বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ফোর জি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে উল্লেখ বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। দেশে বর্তমানে মাথাপিছু ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বাড়াতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়বে জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে এর তত বেশি প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত বিকাশ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে দিকে আমাদেরকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

[wps_visitor_counter]