মোঃ আজিজুর রহমান ভূঁঞা বাবুল, ব্যুরো প্রধান, ময়মনসিংহ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় বিভ্রান্তিকর ধর্মীয় প্রচারণা এবং চিকিৎসার নামে এলাকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে সঞ্জিব রিছিল (৪০) নামের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর এক যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সঞ্জিব রিছিল ঠাকুরগাঁও জেলার বালিডাঙ্গী উপজেলার মাগেরসবাড়ী কাচারীপাড়া গ্রামের শিন্তারাম চিংয়ের ছেলে। তবে ছেলেবেলা থেকেই ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার জয়রামকুড়া গ্রামে তার খালা (মাসি)’র বাড়িতে থাকতেন সঞ্জিব রিছিল। বৃহস্পতিবার (০২ জুন) দুপুরে তাঁকে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে থানা পুলিশ জানায়। এর আগে বুধবার (০১ জুন) দিনগত গভীর রাতে হালুয়াঘাট উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের জয়রামকুড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। সঞ্জিব রিছিল এর বিরুদ্ধে ‘ঈসা নবী দাবি করা এবং ধর্মের কথা বলে এলাকার মানুষের সঙ্গে চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে একই গ্রামের আলাল উদ্দিন বাদী হয়ে হালুয়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সঞ্জিব রিছিল দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ঈসা নবী ও স্থানীয় গ্রামের নিরীহ মানুষদের ধর্মের কথা বলে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছে। তাঁর নিজেকে ঈসা নবী দাবি করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সঞ্জিব রিছিল এর প্রতিবেশীরা জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি তাঁর খালা (মাসি)’র বাড়িতে থেকে বড় হয়েছেন। মাঝেমধ্যেই ঢাকায় যেতেন। তিনি মাঝখানে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মাদ্রাসায়ও লেখাপড়া করেছেন। মাঝে কিছুদিন মাশরুম চাষ করেছেন। বেশ কিছুদিন যাবত তিনি বাড়িতে উঁচু বৈঠকখানা বানিয়ে সেখানে তাঁর ধর্মশালা তৈরি করেছেন। তাঁর এখানে ব্যক্তিগত এক নারী মুরিদও রয়েছেন। বাড়ি থেকে খুব একটা বের হতেন না। মাঝে মাঝে আজানের সময় উচ্চ স্বরে গান বাজাতেন। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও শুনতেন না। পরে তিনি নিজেকে ঈসা নবী দাবি করছেন এবং মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন। তাঁরা এর বিচার দাবি করেন। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিষয়ে জানতে পারি। সে আমাদের কাছেও ঈসা নবী দাবি ও মানুষকে চিকিৎসার নামে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। ’