জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রকাশিত : এপ্রিল ১৫, ২০২৩ , ১০:৪০ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ রবিবার ১৬ এপ্রিল ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদান উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“২০১৯-২০ অর্থ বছরে জাতীয় রপ্তানিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কৃতি রপ্তানিকারকদের ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এ উদ্যোগ রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করবে বলে আমি মনে করি। আমি ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ বিজয়ী সকল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীবৃন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রপ্তানি খাতের অবদান ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে। এর ফলে স্বল্পোন্নত দেশ থাকাকালিন প্রাপ্ত অনেক অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা ভবিষ্যতে আর থাকবেনা। তাই এখন থেকেই আমাদের রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি ও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রপ্তানি ট্রফি প্রদানের মত প্রণোদনামূলক কার্যক্রম রপ্তানিকারকের সক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। কোভিড মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের রপ্তানি বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে রপ্তানিকারকদের নিরলস পরিশ্রম আর আন্তরিক প্রচেষ্টা একান্ত প্রয়োজন। একই সাথে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানার কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি। সকলের সম্মিলত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাক – এ প্রত্যাশা রইল।
আমি জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৯-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]