মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট ডাক সেবা পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর

প্রকাশিত : মার্চ ৪, ২০২৪ , ১০:২৭ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট ডাক সেবা পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। সময়ের চাহিদা মেটাতে ডাকঘরকে মেইল থেকে ডেলিভারি সার্ভিসে রূপান্তরের পাশাপাশি অন্যদের সাথে অবকাঠামো শেয়ারের মাধ্যমে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নত ডাক-সেবা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। সে সুযোগ কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্টদের পথ-নকশা তৈরি করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী সোমবার (৪ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ঢাকায় ডাক-ভবনে স্মার্ট ডাকঘর নির্মাণে ডাক অধিদপ্তর, এটুআই এবং ই-ক্যাব এর সাথে এক পরামর্শক সভায় এ নির্দেশনা প্রদান করেন। পণ্য পরিবহনে ডাকঘর হবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সেবা প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের ঠিকানা আমরা ২০২১ সালে অতিক্রম করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি স্বপ্নের ঠিকানায় ২০৪১ সালের মধ্যে পৌঁছানোর অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ যাতে কম খরচে ঘরে বসেই ডিজিটাল শপ থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারেন সেই লক্ষ্যে স্মার্ট ডাক বিতরণের উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, স্মার্ট ডাক ব্যবস্থায় দেশের ১০ হাজার পোস্ট অফিসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হাবের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে। স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাকিং পদ্ধতিতে ক্রেতার পণ্য কোথায় আছে তাও সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। প্রতিটি ডাক ঘরে ই-কমার্সের জন্য একটি আলাদা কর্নার থাকবে যেখান থেকে পণ্য সর্টিং, ট্র্যাকিং এবং দ্রুততম সময়ে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারলে ডাক সেবায় ডাকঘরের সমকক্ষ কোন প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া দুরূহ হবে। পলক বলেন, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডাক অধিদপ্তর পিছিয়ে থাকতে পারে না। সভায় ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশিদ, পলিসি এডভাইজার আব্দুল বারী, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী ঢাকার গুলশানে টেলিটক সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তাদের সাথে টেলিটকের গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে গৃহীত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময় করেন। প্রতিমন্ত্রী এ সময় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে টেলিটক মোবাইল ইন্টারনেটের একটি বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজ তৈরি এবং ৭ মার্চ থেকে তা চালুর নির্দেশনা প্রদান করেন।

[wps_visitor_counter]