কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১০:৩০ অপরাহ্ণ

মিশর, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব-গম্ভীর পরিবেশে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে দূতাবাসে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচির মধ্যে গতকাল সকাল সাড়ে নয়টায় দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং দূতাবাসে নির্মিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত, ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অতঃপর অমর ভাষা শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মিসরস্থ বাংলাদেশ স্টুডেন্টস্ এসোসিয়েশনের সভাপতি, প্রবাসী বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীবৃন্দ। সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্যের ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বক্তব্যের শুরুতেই ভাষা শহিদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলা ভাষার জন্য বাঙালিদের আত্মত্যাগ আজ বিশ^বাসীর কাছে স্বীকৃত ও সম্মানিত হয়েছে। যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মাতৃভাষাকে সম্মানিত করা হয়েছে। তিনি তাঁর বক্তৃতায় একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান। সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী, প্রবাসী নাগরিক, দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং শিশু-কিশোরগণ দেশাত্মবোধক গান, কবিতা, অভিনয় ও স্মৃতিচারণা উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে কায়রোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি অধ্যাপক, শিক্ষার্থী, কর্মজীবী এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

[wps_visitor_counter]