ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নোয়াখালীর সেনবাগ ও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক ভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য কাজী মফিজুর রহমান সহ বিএনপির প্রায় ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর জামিন লাভ করেছেন। উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্ব-শরীরে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান জামিন প্রাপ্ত দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আদালত চত্বরে সমবেদনা জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মোঃ শাহজাহান জানান, সরকার দলীয় লোকজন ও পুলিশ একজোট হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ৬টি মামলায় প্রায় ১ হাজার নেতাকর্মীকে বিস্ফোরক ও হামলা সহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। আমি আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। আদালতের মাধ্যমে আমরা আশা করি বিএনপির নেতাকর্মীরা ন্যায় বিচার পাবে। জেলার সিনিয়র বিএনপি নেতাকর্মী ছাড়াও আইনজীবী নেতাকর্মীদেরকেও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহাদাত হোসেন জানান, ৫টি মামলায় ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর জামিন হয়েছে। তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিল। ছয়টি মামলার মধ্যে সেনবাগে দুটি মামলা ও সদরে তিনটি মামলার অধিকাংশ নেতাকর্মী জামিন নিয়েছে তবে বাকিরা ২/৩ দিনের মধ্যে জামিনের জন্য আবেদন করবে। তিনি আরও জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদেরকে আদালতে জামিন করায় পুলিশ ও আওয়ামীলীগের লোকজন এখন জেলা আইনজীবী সমিতির বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীদেরকেও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তারা এর তিব্রনিন্দা জানান। জামিন বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে জেলা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট গুলজার আহমেদ জুয়েল সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ মামলা গুলোতে এজাহার খুব দুর্বল ছিল, ও পুলিশের পক্ষ-থেকে কোন যোগাযোগ না করায় মামলাগুলোতে জামিন হয়েছে তাদের। এর আগে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিল। উল্লেখ্য আগস্ট মাসে বিএনপি আওয়ামীলীগের ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ বাদী হয়ে ৬টি মামলায় প্রায় ১ হাজার লোককে আসামি করে।