ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: সম্পত্তির বিরোধের জেরে বসতঘরে সৎ ভাইয়ের দেয়া তালা ভেঙ্গে ১৬ ঘন্টা অবরুদ্ধ পর শাহাদাত আনোয়ার (৪০) নামের এক স্কুল শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৯৯৯ এ কল পেয়ে সোমবার সকালে সেনবাগ থানা পুলিশ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের পূর্ব ইয়ারপুর গ্রামের পঞ্চায়েত বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে। শাহাদাত আনোয়ার ইয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পঞ্চায়েত বাড়ির মৃত একেএম ফজলুল করিমে বড় ছেলে । সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, শাহাদাত আনোয়ার ও সৎ ভাই আবদুল্লাহ আল মাসুদ যৌথ ভাবে ৫ শতাংশ জমিনের ওপর একটি একতলা বিল্ডিং ঘর নির্মাণ করে। এরপর দুই ভাইয়ের মধ্যে বনিবনা না হওয়া ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর স্থানীয় ভাবে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে আবদুল্লাহ আল মাসুদকে ১০ লক্ষ টাকা দিলে যৌথ ভাবে করা বিল্ডিংটি বড় ভাই শাহাতাদকে ছেড়ে দিয়ে সে অন্যত্র বসতঘর নির্মাণ করে থাকার সিদ্ধান্ত হয়। এরেই আলোকে উভয়ের মধ্যে স্ট্যাম্প লিপিবদ্ধ হয়। এরপর আবদুল্লাহ আল মাসুদ স্ত্রী সন্তানদের শ্বশুর বাড়িতে রেখে দুবাই চলে যায়। মাসুদ রোববার ১১ ডিসেম্বর দুবাই থেকে দেশে এসে সেনবাগ থানা পুলিশ নিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বড় ভাইয়ের ঘরে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
এ সময় পুলিশ উভয়কে কাগজপত্র নিয়ে থানায় যাবার বলে চলে গেলে সৎ ভাই দুবাই প্রবাসী আবদুল্লাহ আল মাসুদ সন্ধ্যায় বড়ভাই শাহাদাত আনোয়ারকে পরিবার সহ নিজ ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সোমবার সকালে শাহাদাত জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করলে সেনবাগ থানার এসআই আজমের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বসতঘরের তালা ভেঙ্গে শিক্ষক শাহাদাত ও তার পরিবারের সদস্যদের মুক্ত করে। এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষক শাহাদাত আনোয়ার জানান, সালিশের সিদ্ধান্ত মতে আমি ১০ লাখ টাকা তখন জোগাড় করলেও মাসুদ টাকা না নিয়ে পালিয়ে বিদেশ চলে যায়। গতকাল সে হঠাৎ করে দেশে এসে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাকে ঘরে অবরুদ্ধ করে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই। অপরদিকে শিক্ষক শাহাদাত আনোয়ারের প্রবাসী সৎ ভাই আবদুল্লাহ আল মাসুদ জানান, আমি ঘর করা পর্যন্ত ওই ঘরে থাকার কথা, কিন্তু আমার ভাই আমাকে ও আমার পরিবারকে সেখানে থাকতে দিচ্ছেনা। এ ব্যাপারে সেনবাগ থানার ওসি ইকবাল হোসেন চৌধুরী জানান, ৯৯৯ থেকে জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষক পরিবারকে উদ্ধার করে। উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।