মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি সুলতান ফকির ময়মনসিংহে গ্রেফতার

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩ , ৯:৫২ অপরাহ্ণ

ময়মনসিংহ ব্যুরো, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ময়মনসিংহ নগরীর ভাটিকাশর থেকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণসহ মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুলতান মাহমুদ ফকিরকে (৬৪) গ্রেফতার করেছে র‌্যপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গ্রেফতারকৃত মৃত্যু দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামি সুলতান মাহমুদ ফকির ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার কানিহারি ইউনিয়নের বিয়ার্তা গ্রামের মৃত আসমত আলী ফকিরের ছেলে। সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‌্যাব-১৪ ময়মনসিংহের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত ডিআইজি র‌্যাব- ১৪ অধিনায়ক মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান। মহিবুল ইসলাম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ নগরীর ভাটিকাশর থেকে সুলতান মাহমুদ ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর গত ২৩ জানুয়ারি মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে ত্রিশালের ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ে সুলতান মাহমুদ ফকির মৃত্যু দণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের একজন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের জুন-জুলাই মাসে ত্রিশাল উপজেলার আহমেদাবাদে একটি বিদ্যালয়ে ক্যাম্প স্থাপন করে শান্তি ও রাজাকার বাহিনী। ওই সময় কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলী নামে এক ব্যক্তি ও এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপার করতেন। এ কারণে ইউনুছ আলীকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যান স্বাধীনতা বিরোধী ২০ থেকে ২৫ জন।পরে নির্যাতনের পর ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট সকালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ওই রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এলাকায় লুটপাট ও ধর্ষণের মতো অপরাধ করে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে মামলাটি করেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন। পরে ওই দিন দুপুরেই আদালতের বিচারক আবেদা সুলতানা মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর দীর্ঘ তদন্ত ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে সুলতান মাহমুদ ফকিরও একজন। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

[wps_visitor_counter]