সাবেক অধ্যক্ষ সায়েদুল আলমের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির মামলা

প্রকাশিত : জুন ১, ২০২৩ , ৯:২৭ অপরাহ্ণ

হেলালী ফেরদৌসী, নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ঝিনাইদহ শহরের মোশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সায়েদুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতে ঋণ খেলাপির মামলা করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। ১০এপ্রিল ঋণ খেলাপির দায়ে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: এর ম্যানেজার বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন, যার নম্বর ২৮৪/২৩। মামলার বিবরণে জানা যায়, সময়মত ঋণ পরিশোধের চুক্তিতে বিগত ২৯/১০/২০১৯ ইং তারিখে ৩ লক্ষ ২৫হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন মোশাররফ হোসেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আসামী সায়েদুল আলম। কিন্তু বাদীর চুক্তিমত আসামী টাকা পরিশোধ করেননি। এজন্য বাদীর প্রতিষ্ঠান তাকে মৌখিক ভাবে বার বার তাগাদা প্রদান করা স্বতেও টাকা পরিশোধ না করে তালবাহানা করছেন। বর্তমানে মুনাফাসহ গত ০৬/০৩/২৩ইং তারিখে বাদীর প্রাপ্য ৩লক্ষ ৬৩হাজার ৬’শ৩৪টাকা পাওনা রয়েছে। তিনি এই টাকা পরিশোধের নিমিত্তে বাদীকে একটি রুপালী ব্যাংকের চেক প্রদান করেন যাহার হিসাব নম্বর ৩০৮৭০১১০০৩৪৬৭ এবং চেক নং ৫০৮৪৪৬০, তারিখ ০৬/০৩/২০২৩ইং । চেকটি ভাঙ্গাতে গেলে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় ডিজ অনার হয়। যা ব্যাংকের আইনে প্রতারণার সামিল এবং ১৩৮ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়াও তার নামে কলেজে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কলেজের অফিস সহকারী মোদাসসের আলীর নামে লোন তুলে তিনি নিজে ব্যবহার করেছেন এখন তাকেও ঋণ খেলাপি মামলায় পড়তে হয়েছে। এছাড়া কলেজের গাছ কাটা, অর্থ তছরুপ, নিয়োগ বাণিজ্য, প্রমোশন বাণিজ্য, বিধি মোতাবেক দায়িত্ব হস্তান্তর না করা। স্বেচ্ছাচারিতার জন্য নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পছন্দমত ব্যক্তিকে বছরের পর বছর সভাপতি বানিয়ে সুবিধা ভোগ করাসহ শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ করায় ছিল তার কাজ। কেউ কিছু বললে চাকুরী খেয়ে ফেলার হুমকিসহ নানা ভয়ভীতি দেখাতেন। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করেও যখন কাজ হয়নি তখন সিনিয়রিটি লঙ্ঘন করে নিজের পছন্দমত একজনকে ভারপ্রাপ্ত বানিয়ে তিনি অবসরে গেছেন। এখন কলেজে না আসলেও বাড়িতে বসে পছন্দের ওই ভারপ্রাপ্তকে দিয়ে তার সমস্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সদ্য কলেজের কিছু শিক্ষক জ্যৈষ্ঠ প্রভাষক পদে আবেদন করেন সেখানেও টাকার বিনিময়ে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি সুরাহার জন্য ভুক্তভোগী একজন শিক্ষক জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে সাবেক অধ্যক্ষ সায়েদুল আলমের সাথে তার মুঠোফোন ০—–৬৭০২৭ নম্বরে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সাবেক এই অধ্যক্ষের হাত থেকে কলেজকে বাঁচাতে হলে বিধি-মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের উপর দায়িত্ব দিয়ে একজন অভিজ্ঞ, দক্ষ ও নিষ্ঠাবান অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

[wps_visitor_counter]