আশরাফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল মতিনের বাসভবনে ককটেল হামলা হয়েছে। এছাড়াও বাড়ির সামনে থেকে আরও একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) দিনগত রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে লোডশেডিং চলাকালীন সময়ে জেলা শহরের ফুড অফিস মোড়ে সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল মতিনের বাসভবনে এই ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এমপি প্রার্থীর বাড়ির সামনের দেয়ালে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ বাড়ির সামনে থেকে আরও একটি অবিস্ফোরিত তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভয়ভীতি দেখাতেই এমন হামলা হয়েছে দাবি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মতিনের। তিনি জানান, নির্বাচনী কাজে বাড়ির বাইরে ছিলাম। লোডশেডিং চলাকালীন সময়ে হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এসে দেখি দেয়ালে ককটেল বিস্ফোরণের চিহ্ন ও বাইরে একটি তাজা ককটেল পড়ে আছে। আমার নির্বাচনী কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতেই এমন কাজ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আমাকে ও আমার পরিবারকে ভীত করতে ও যাতে নির্বাচন থেকে সরে যায়, তাই এমন হামলা হতে পারে। আমি সবসময়ই এসব সহিংসতার বিরুদ্ধে। তবে এসব করে আমাকে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা যাবে না। ঘটনার পর বাড়িতে পুলিশ পাহারার দাবি জানান মাওলানা আব্দুল মতিন। স্থানীয় বাসিন্দা শাহিদুল ইসলাম জানান, তখন বিদ্যুৎ ছিল না। হঠাৎ করেই বিকট শব্দ হয়। ছুটে এসে দেখি মেয়রের বাড়িতে ককটেল হামলা হয়েছে। এসময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে আরও একটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে মেয়রের বাড়ির সামনে থেকে। এ ঘটনায় প্রার্থীর বাড়ির আশেপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আটক করাসহ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও মাওলানা আব্দুল মতিনসহ সকল এমপি প্রার্থীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া হবে। বিএনএম মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল মতিন গত বৃহস্পতিবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরদিন শুক্রবার তাকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করে দল।