ধর্ষণের দায়ে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ৬ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪ , ৬:৫০ অপরাহ্ণ

ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামীর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের অর্থদণ্ডও দিয়েছে আদালত। সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে কাঠগড়ায় পনের আসামি উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি পলাতক রয়েছে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, মো. রুহুল আমিন, পিতা মৃত খুরশিদ আলম, মো. হাসান আলী বুলু পিতা মৃত আবদুল হাসেম, মো. সোহেল পিতা মৃত ইসমাইল, স্বপন পিতা মৃত আবদুল মান্নান, ইব্রাহীম খলিল পিতা আবুল কাশেম, আবুল হোসেন আবু পিতা মৃত ছিড়ু মিয়া, মো. সালাউদ্দিন পিতা ফকির আহাম্মদ, মো. জসীম উদ্দিন পিতা মো. মোতাহের হোসেন, মো. মুরাদ পিতা মো. রফিক ও মো. জামাল হেঙ্জু পিতা মৃত চাঁনমিয়া। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, মো. হানিফ পিতা ইসমাইল প্রকাশ বাগন আলী, মো. চৌধুরী পিতা আবদুল হামিদ, মো. বাদশা আলম প্রকাশ কুড়াইলা বাসু পিতা মৃত আহম্মদ উল্যা, মোশারফ পিতা তোফায়েল আহম্মদ তোফা, মো. মিন্টু প্রকাশ হেলাল (পলাতক) পিতা মৃত আরব আলী প্রকাশ গর্দান ও মো. সোহেল পিতা আবুল কালাম। এছাড়া মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সকল আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেকের দুই বছরের স্বশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্র-পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ছালেহ আহম্মদ সোহেল খান বলেন, রায়ে রাষ্ট্র-পক্ষ সন্তুষ্ট। রায়টি অপরাধীদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ মামলায় রাষ্ট্র-পক্ষ ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। আসামি পক্ষের পাঁচজন সাফাই সাক্ষী প্রদান করে। আসামি পক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নয়। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। বাদী পক্ষের আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রাসুল মামুন বলেন, যুগান্তকারী রায় হয়েছে। অপরাধীদের জন্য এটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও গণ-ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। ঘটনাটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। ওই ঘটনার পরদিন (৩১ ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিগত ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগ-পত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

[wps_visitor_counter]