গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করলে করদাতার সংখ্যাও বাড়বে

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১০:৪৪ অপরাহ্ণ

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বর্তমান সরকারের শাসনামলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্রেতা ও ভোক্তার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গ্রামের মানুষের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করে গ্রামেও আয়কর জাল সম্প্রসারণ করতে হবে। সোমবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়কর বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে যখন হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২৭৭ মার্কিন ডলার। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৩২৯ ডলার। ২১ বছরে মাথাপিছু আয়ের পার্থক্য মাত্র ৫২ মার্কিন ডলার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৭০০ মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা ২ হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাত্র ১৪ বছরে ২১২৪ ডলারের মাথাপিছু আয়ের পার্থক্যটা অভূতপূর্ব এবং অসাধারণ। এ সময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অপার সম্ভাবনা রয়েছে কারণ আমাদের ৬৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী যুবক যারা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এছাড়া এলডিসি থেকে উত্তরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, আইএমএফ পাকিস্তানকে আবেদন করার দুই বছর পর এখনো ঋণ দেয়নি অথচ বাংলাদেশকে ৬ মাসে ঋণ অনুমোদন দিয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, মানুষ যাতে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে আয়কর প্রদান করতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে। সেজন্য আয়কর ব্যবস্থায় সমন্বিত ডিজিটালাইজেশন ব্যবস্থা চালু হয়েছে এবং তা ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী হবে। এ সময় কর প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে সবাইকে অংশগ্রহণ করারও আহ্বান জানান তিনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়োজনে ‘আয়কর ব্যবস্থার ক্রমবিকাশ ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আয়করের ভূমিকা’ এবং ‘আয়কর ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম।

[wps_visitor_counter]