পরিবেশবান্ধব পাট স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে

প্রকাশিত : মার্চ ৬, ২০২৩ , ১১:৪৩ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান, নির্দেশনা ও পরামর্শে আমরা পাটখাতের প্রবৃদ্ধির ধারাকে বেগবান করতে পেরেছি। পরিবেশবান্ধব পাট জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। পাট দিবস উদ্‌যাপন ও পাটখাতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহামুদ হুমায়ুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট সচিব মোঃ আব্দুর রউফ। পাট মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আমি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাটচাষি, পাটপণ্যের উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা, পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকারীগণ, ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমি আশা করি, পাটখাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনবৃন্দ এখাতের সমৃদ্ধিকে আরো বেগবান করতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, আমরা পাটের উৎপাদনের দিকে যেমন গুরুত্ব দিচ্ছি পাটপণ্য উৎপাদনে আরো জোর দিচ্ছি। জুট ভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এর বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, সম্প্রসারণে কাজ করেছে। জেডিপিসি পাটপণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশিদের সাথে অধিক যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। ইতোমধ্য অনেকেই দৃষ্টিনন্দন, আধুনিক ও স্মার্ট বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করছেন যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। মন্ত্রী আরো বলেন, পাটখাতে সরকার অংশীজনদের নীতি সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। পাটখাতের আরেকটি সম্ভাবনাময় দিক উন্মোচন করেছে চারকোল। ৩৪-৪০টি চারকোল উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫-২০ হাজার লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে চারকোল রপ্তানি করে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। চারকোলের সম্ভবনা বিপুল। আমরা পাঠকাঠি দিয়ে চারকোল বানিয়ে তা রপ্তানি করে ডলার আয় করছি। পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নানা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে পাটের জন্য আমাদের বাজার অনেক বড়। পরিবেশ আন্দোলন আমাদের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ আন্দোলনে যেভাবে সহায়তা দিচ্ছে, সেখানে পাটকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আপনাদের (রপ্তনিকারকদের) যেতে হবে। পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। আমি দাবি করতে চাই পাটকে বহুমুখী কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
‘পাট শিল্পের অবদান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে প্রতি বছরের মতো এবারো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পাট দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও পাটপণ্যের প্রর্দশনীর আয়োজন করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্ততানি বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য এ বছর ১১ ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, চাষি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পাটসংশ্লিষ্ট ৯ সংগঠনকেও সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

[wps_visitor_counter]