ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সোনার বাংলা গঠনই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল দর্শন

প্রকাশিত : নভেম্বর ১০, ২০২৩ , ১১:১৭ অপরাহ্ণ

আশিষ চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, আবহমান বাংলার চিরায়ত বৈশিষ্ট্য অসাম্প্রদায়িকতা। আর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মূলে রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধ। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভিত রচনা করেছিলেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সোনার বাংলা গঠনই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল দর্শন। শুক্রবার (১০ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) রাজধানীস্থ শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গণে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ‘বিজয়া সম্মেলন- ২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন স্পীকার। এ অনুষ্ঠানে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসেবে পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার বক্তব্য প্রদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরাসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: বাহাউদ্দীন, ইসকন স্বামীবাগ আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রী চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ বুদ্ধিষ্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় মহাথের, বরিশাল ধর্মপ্রদেশ বাংলাদেশের বিশপ ইন্মানুয়েল কানন রোজারিও বিজয়া সম্মেলন-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা করেন। স্পীকার বলেন, ধর্মের শ্বাশত বানী মানবতা। তাই ধর্মের অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি সমাজের সকলের প্রতি মানবিক হতে হবে। প্রতিটি ধর্মীয় উৎসবে মানুষে মানুষে মিলন হয়। তিনি বলেন, তাই মানুষকে মানবিকতার আলোকে বিচার করতে হবে। স্পীকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের মাধ্যমে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সবাইকে অংশীদার করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের মত সবাইকে যুক্ত করার মধ্যেই উৎসবের স্বার্থকতা। তাই প্রতিটি জাতীয় উৎসবে সকলকে অংশগ্রহণ করতে হবে। স্পীকার বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে যে সংবিধান উপহার দিয়েছেন, তাতে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রেখে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে। এসময় স্পীকার দুর্গাপূজায় বিভিন্ন মন্ডপে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বিভিন্ন মন্দির থেকে আগত ভক্তবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

[wps_visitor_counter]