‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৩’ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ

প্রকাশিত : নভেম্বর ২৭, ২০২৩ , ৬:০২ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত “ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৩” নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। সোমবার (২৭ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই আইনটি উপস্থাপন করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকারি, বেসরকারি সকল শিল্প কারখানার প্রক্রিয়া ও উদ্ভাবনী তথ্য, ব্যবসা- বাণিজ্য সংক্রান্ত দেশীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির গোপনীয় তথ্যের সুরক্ষা প্রয়োজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’-এর খসড়া প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ খসড়া আইনের বিষয়ে গত ১৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে একাধিক সভা, কর্মশালা, ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মতামত গ্রহণ করা হয়। ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’-এর খসড়া পরিমার্জন-পূর্বক চূড়ান্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাভাষা বাস্তবায়ন কোষ (বাবাকো)’ কর্তৃক প্রমিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে অংশীজনদের মতবিনিময়ের মাধ্যমে আইনটির খসড়া পুনরায় পরিমার্জন করা হয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ‘আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা-পূর্বক মতামত প্রদান সংক্রান্ত কমিটি’ কর্তৃক খসড়া আইনটি মন্ত্রীসভা-বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করে। এই আইনটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য সমূহ হলো উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত কার্যাবলী তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণের জন্য বিদ্যমান প্রশাসনিক ব্যবস্থায় একটি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা স্থাপন নিশ্চিত করা; কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত উপাত্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, ব্যবহার বা পুনঃ-ব্যবহার, হস্তান্তর, প্রকাশ, বিনষ্টকরণ ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান করা; জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা (Research & Development) এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে উপাত্তের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করা; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কোনো ব্যক্তির উপাত্ত সুরক্ষা ও উহার প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত কার্যাদি নিয়ন্ত্রণ ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত উপাত্ত সুরক্ষার নীতিসমূহ অনুসরণ-ক্রমে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে মুক্ত বাণিজ্যের প্রসার ও বিস্তৃতি ঘটানোর ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উপাত্তের ব্যবহার নিশ্চিত করা। উল্লেখ্য, দেশের নাগরিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মতো দেশের সাথে পর্যালোচনা করে আইনটি করা হয়েছে।

[wps_visitor_counter]