ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুযোগে সমতা তৈরি হয়েছে

প্রকাশিত : নভেম্বর ২৮, ২০২৩ , ৮:২৮ অপরাহ্ণ

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুযোগে সমতা তৈরি হয়েছে। দরিদ্র শিক্ষার্থীরা যারা নামীদামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারতো না তারা ভর্তি হতে পারছে। কাজেই একটা সুযোগের সমতা তৈরি হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমের অধীনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-উপকরণ ব্যবহার করার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দামি উপকরণ ব্যবহার করা যাবে না। অভিভাবকদের ওপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি হয় এমন কাজ করা যাবে না। আমরা যেটি বলেছি—ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বাসায় ব্যবহার করা জিনিসপত্র ব্যবহার করতে হবে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) কেন্দ্রীয়-ভাবে রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লটারি কার্যক্রম উদ্বোধনের পর এসব কথা বলেন ডা. দীপু মনি। লটারির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল ইসলাম চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা কে কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে তা অনলাইনে দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে আজ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্য আসনের বিপরীতে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে আমরা শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ নিয়েছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থীরা পাঠদান পেয়ে দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করবে, জ্ঞান অর্জন করবে সেটা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। আমরা তথাকথিত স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছি, তারা রেডিমেড শিক্ষার্থী নেবে আর ভালো ফলাফল করবে তাহলে শিক্ষকদের কাজটা কি? তাহলে কেন তাদের আমরা অবকাঠামো দেবো? কেন এমপিও দেবো? উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ওয়েবসাইট এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন। ওয়েবসাইটে httpsgsa.teletalk.com.bd-এ প্রবেশ করে এই ফলাফল দেখা যাবে। প্রসঙ্গত, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ২৪ অক্টোবর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথমে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কেন্দ্রীয় লটারির অধীনে রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি ৩ হাজার ৮৪৬ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়-গুলোয় শূন্য আসন ১১ লাখ ২২ হাজার ৯৪টি। এর বিপরীতে ভর্তির জন্য আবেদন জমা পড়ে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২টি। দেশের ৬৫৮টি সরকারি বিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ১০১টি। এর বিপরীতে আবেদন জমা হয়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩ জন শিক্ষার্থী। প্রতি আসনে ৫ জন করে শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বেসরকারি তিন হাজার ১৮৮টি বিদ্যালয়ে শূন্য আসন ১০ লাখ তিন হাজার ৯৯৩টি। এর বিপরীতে আবেদন করেছে তিন লাখ ১০ হাজার ৭৭৯ জন।

[wps_visitor_counter]