নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারের উদ্যোগসমূহ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাহসী পদক্ষেপ

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ৪, ২০২৩ , ৮:০৬ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারের উদ্যোগসমূহ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাহসী পদক্ষেপ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা প্রকল্পের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন একত্রিত করা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলাফল মোকাবিলা করার জন্য ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (Mujib Climate Prosperity Plan)’ কৌশলগত উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস হতে শতকরা ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী, সোমবার (৪ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) দুবাইতে IRENA আয়োজিত ‘জীবন ও জীবিকার ক্ষমতায়ন-জলবায়ুর জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ Renewables for Climate Action : Launch of Empowering Lives and Livelihoods Initiative উদ্যোগটির উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ IRENAÔi দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতি রেখে টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে কাজ করছে। নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসার ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টেকসই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বৃহৎ আকারের প্রকল্পের বাইরেও ছাদে সোলার, ভাসমান সোলার ও সৌর সেচের মতো ছোট উদ্যোগের দিকেও বাংলাদশ মনোনিবেশ করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে ৪৫ হাজারটি সোলার ইরিগেশন পাম্প প্রতিস্থাপন করার বিষয়টি রোডম্যাপে বলা হয়েছে। ফলে ডিজেলের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে এবং পরিবেশগত ব্যাপক উন্নতি ঘটবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ মন্ত্রী মরিয়ম বিনতে মোহাম্মেদ আলমেহইরি (Mariam Bint Mohammed Almheiri), আইসল্যান্ডের পরিবেশ, জ্বালানি ও জলবায়ু মন্ত্রী গাডলাওগার থর থরডারসন (Gudlaugur Thor Tohrdarson), বেলজিয়ামের উপপ্রধান কেবিনেট ডমিনিকিউ পারিন (Dominique Perrin), নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রী শক্তি বাহাদুর বাসনেট (Shakti Hahadur Basnet) এবং ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী আরিফিন তাসরিফ (Arifin Tasrif) বক্তব্য রাখেন।

[wps_visitor_counter]