শেখ হাসিনার উন্নয়ন কিচ্ছা কাহিনিকেও হার মানিয়েছে

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩ , ১০:৪১ অপরাহ্ণ

আশিষ চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আজকে দেশ পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমরা গতবার স্লোগান দিয়েছিলাম ‘আমার গ্রাম আমার শহর’। অর্থাৎ গ্রামগুলোকে শহরের মতো বানাবো। এখন গ্রামগুলো শহরের মতো হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন কিচ্ছা কাহিনিকেও হার মানিয়েছে।’ তিনি বলেন, ঈদ, পূজা-পার্বণে কেজি ১৫ টাকায় চাল, ২০০ টাকায় ৩০ কেজি চাল, বিনামূল্যে চাল, ফেয়ার প্রাইজ কার্ড, টিসিবি’র কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ ১৮ রকমের ভাতা দিচ্ছে সরকার। আবার নারীদের কাছে মোবাইলে সরকারের টাকা পৌঁছে যায়। এসব আমরা আগে ছোট থাকতে কিচ্ছা-কাহিনিতে শুনতাম। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রোয়াজারহাটস্থ রাঙ্গুনিয়া ক্লাব মাঠে চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাঁর নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা, মরিয়মনগর, চন্দ্রঘোনা কদমতলী ও স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করে। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা মেয়র মোঃ শাহজাহান সিকদারের সভাপতিত্বে পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম সভা সঞ্চালনা করেন। মন্ত্রী বলেন, আগে কার্পেটিং রাস্তা ছিল শহরে। এখন গ্রামের সব রাস্তা-ঘাট পাকা হয়ে গেছে। কোনো জাদুর কারণে এই পরিবর্তন হয়নি, এগুলো সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে। নিজ নির্বাচনি এলাকার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ১৫ বছর আগে কাপ্তাই সড়ক ছাড়া রাঙ্গুনিয়ায় আর কোনো কার্পেটিং রাস্তা ছিল না, এখন রাঙ্গুনিয়ার অভ্যন্তরে কার্পেটিং ছাড়া কোনো রাস্তাটা আছে সেটি গুনে দেখতে হবে। যেখানে পানি ওঠে সেখানে করা হয়েছে আরসিসি ঢালাই রাস্তা। সব রাস্তার পাশে এখন সুন্দর পাকা ঘরবাড়ি। গ্রামে গ্রামে টেলিভিশন, ডিস এন্টেনা, ওয়াইফাই লাইন, অধিকাংশ বাড়িতে এখন এয়ারকন্ডিশন চালানো হচ্ছে। ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা আমাকে তিনবার এমপি নির্বাচিত করেছেন। এই ১৫ বছরে আমি কি করেছি সেই কৈফিয়ত আপনারা না চাইলেও আমার দায়িত্ব কৈফিয়ত দেওয়া। আমি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি শুধু দলের এমপি হবো না, রাঙ্গুনিয়ার যে কোনো মানুষ আমার কাছে গেলে সে কোন দলের, কোন মতের বা পথের সেটি দেখিনি। আমার কাছে আসলে যে দল বা মতেরই হোক না কেন, তার উপকার করার চেষ্টা করেছি। আমার ধর্ম হচ্ছে, কারো অপকার না করা, উপকার করা।’ এর আগে পোমরা ইউনিয়নে গণসংযোগকালে পথসভায় ড. হাছান ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘রাষ্ট্র আপনাকে ভোটের অধিকার দিয়েছে, তাই ভোট দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সেই অধিকার প্রয়োগ করতে হবে। ৭ তারিখ আপনার এই অধিকার প্রয়োগ করতে ভোট কেন্দ্রে সকাল সকাল যাবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। আমরা নৌকা মার্কায় ভোট চাই। সুষ্ঠু সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সবাই লাইন ধরে যেভাবে ভোট দেয়, ঠিক সেভাবেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেই ভোটে নৌকার ধস নামানো বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।’ সভাগুলোতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, গিয়াস উদ্দিন খান স্বপন, শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী, মুজিবুল হক হিরু, মোঃ নূর উল্লাহ, আইয়ুব রানা, নাছির উদ্দীন রিয়াজ, শৈবাল চক্রবর্তী, মোঃ হারুন সওদাগর, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, ভাস্কর সাহা, মোরশেদ তালুকদার, সিরাজুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। জেলা ও উপজেলার দলীয় নেতৃবৃন্দ সভায় যোগ দেন।

[wps_visitor_counter]