নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ অগ্নিসন্ত্রাসের মূলোৎপাটন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১০, ২০২৪ , ৮:১০ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দল নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (১০ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করলেও স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে, মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ না করা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিলো ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যখন জাতির পিতা স্বাধীন দেশের মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন। ঐতিহাসিক এই দিনে আমি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, গভীর শ্রদ্ধা জানাই ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের কালোরাত্রিতে শহিদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং যারা জীবন দিয়ে আমাদের এই দেশমাতৃকা রচনা করে গেছেন সেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।’ সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অত্যন্ত অবাধ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ এবং সন্ত্রাসমুক্ত একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিলো। কোনো কোনো নির্বাচনি এলাকায় ৭০ শতাংশের ওপরে মানুষ ভোট দিয়েছে। তিনদিন ছুটি পাওয়ায় অনেকেই শহর থেকে গ্রামে চলে গিয়েছিলো সে কারণে কিছু বড় শহরে ভোটের হার কিছুটা কম হয়েছে। কিন্তু এরপরও আমাদের ভোট প্রদানের হার ৪২ শতাংশ।’ মার্কিন পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো, অন্যান্য দেশ এবং বিভিন্ন জোটভুক্ত দেশের পর্যবেক্ষক যারা এসেছিলেন তারা সবাই এ নির্বাচনকে অত্যন্ত অবাধ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ এবং নির্বাচনের সময় নানাবিধ দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মাত্রা অন্যবারের চেয়ে অনেক কম হয়েছে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য তারা তাদের বিবৃতিতে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাথে অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করার কথা বলেছে। জাপান থেকে শুরু করে প্রায় ৩১টির বেশি দেশের রাষ্ট্রদূতগণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভারত, চীন, রাশিয়া অভিনন্দন জানিয়েছে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোন করে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দেশের ইতিহাসে একটি ভালো সুন্দর নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের সরকার নতুন যাত্রা শুরু করবে এবং সরকার গঠনের পর আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে দেশ থেকে অগ্নিসন্ত্রাসকে সমূলে উৎপাটন করা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। যারা ভোট বর্জনের কথা বলেছিলো এবং অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে ভোট বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিলো, সেই বিএনপি-জামাতের প্রতি মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে এবং উৎসাহের সাথে ভোট দিয়ে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

[wps_visitor_counter]