হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখা হবে

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪ , ৯:৩২ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশব্যাপী স্বাস্থ্যখাতের সাম্প্রতিক কিছু ইস্যু নিয়ে কথা হচ্ছে। ঘটনাগুলো যেকোনো মানুষের মনকেই নাড়া দেবে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আমাকে শক্ত হাতে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। তিনি আমাকে এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে বলেছেন। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো আমরা বন্ধ করতে চাই না, তবে এগুলো চালাতে হলে যত চিকিৎসক, নার্স প্রয়োজন তা থাকতে হবে; যা যা যন্ত্রপাতি থাকার কথা সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে। সেটা করা না হলে, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণসহ জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, কোন অনুরোধ বা তদবিরেই এ সকল অবৈধ বা যন্ত্রপাতি-হীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সচল রাখা হবে না। আমরা গত এক মাসে প্রায় ১ হাজার ২২৭টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছি, এখনও অভিযান চলমান আছে। একই সাথে বৈধ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত লোকবল ও যন্ত্রপাতি না থাকলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ের ওপর মিডিয়া ব্রিফ্রিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন । মন্ত্রী জানান, রোগীদের সুরক্ষা নিয়ে যেভাবে ভাবা হচ্ছে একইভাবে চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। ভালো সেবা পেতে হলে ভালো চিকিৎসক লাগবে। ভালো সুযোগ-সুবিধা না পেলে ভালো চিকিৎসক পাওয়াও মুশকিল হবে।
তিনি অতীতে কি হয়েছে সেগুলো নিয়ে না ভেবে এখন কি করা হচ্ছে সেদিকে বেশি মনোযোগ দিতে মিডিয়া কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নততর করতে চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিকসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ডা. সামন্ত লাল সেন। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতাল ও ক্লিনিক সেবা শাখার সাথে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও কর্মকর্তাদের নিয়ে পৃথক সভা করেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল হাসান, বিএসএমএমইউ এর এনেস্থেসিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর দেবব্রত বণিক, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের এনেস্থিসিওলজি বিভাগের প্রধানগণ সহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

[wps_visitor_counter]