হাওর অঞ্চল হবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু

প্রকাশিত : মার্চ ৮, ২০২৪ , ১০:২২ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান বলেছেন, হাওর অঞ্চলের সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে হাওর অঞ্চল হবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। এজন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমাদের হাওর অঞ্চলের সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে হবে। শুক্রবার (৮ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ গবেষণা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘হাওরের সম্ভাবনা : প্রাপ্তি ও সংকট উত্তরণের পথরেখা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. সাজ্জাদুল হাসান এমপির সভাপতিত্বে বৃহত্তর ময়মনসিংহ গবেষণা ফাউন্ডেশনের সেমিনারে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চল হচ্ছে জীব-বৈচিত্র্যের এক অপার আধার। হাওর-কেন্দ্রিক অর্থনীতির যে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগাতে বহুমুখী ও পরিকল্পিত উপায়ে উদ্যোগ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। হাওর অঞ্চলের উন্নয়নকে জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা গেলে শেখ হাসিনার হাত ধরে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চলে মাছের উৎপাদন মূলত ব্যাহত হয় স্থায়ী অভয়াশ্রমের অভাবে, ক্ষতিকর চায়না জালের ব্যবহার, ডিম ওয়ালা মাছ ও পোনা-নিধন, ইজারা প্রথা, সেচ দিয়ে মাছ শিকার, জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার এবং হাওরের গভীরতা কমে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্য হয়ে পড়ার কারণে। তিনি এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের তাগিদ দেন। তিনি বলেন, হাওর অঞ্চলে বোরোর আবাদ ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের জন্য সঠিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন জরুরি ভিত্তিতে করতে হবে। হাওর এলাকার জীবন ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিত্তি অনেকটা পানি বিজড়িত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পানির সাথে সম্পর্কিত কর্মকাণ্ড যেমন ধান চাষ, মাছ চাষ, হাঁস পালন, নৌকা যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে। মন্ত্রী জানান, স্বাধীনতার পর হাওর অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে হাওর উন্নয়ন বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে ধারাবাহিকতায় হাওর এলাকার জনজীবন, জীবিকা, পরিবেশসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২০১২ সাল থেকে ২০৩২ সাল পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদি একটি হাওর মহা-পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

[wps_visitor_counter]