প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক ও সম্প্রীতি গড়ে না তুললে জীবন ব্যহত হবে

প্রকাশিত : জুন ৪, ২০২২ , ৩:৩৬ অপরাহ্ণ

ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে “গঙ্গা, তিস্তা, যমুনা, মেঘনা নদীর ব্যবস্থাপনা ও পানির উপর কৃষক ও আদিবাসীর অধিকার” শীর্ষক আলোচনাসভা প্রধান অতিথি অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেছেন, প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক ও সম্প্রীতি গড়ে না তুললে জীবন ব্যহত হবে। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এসেছে পানির ওপরে পানি ওপর নাম জীবন “গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনার নিচে আমাদের অবস্থান শুস্ক মৌসুমে আমাদের পানি পরিকল্পনা অনিশ্চিত রয়েছে। আমাদের সবগুলো নদী একই ধারায় প্রবাহিত। নদীর সঙ্গে দৈনন্দিন জীবন ৫৭ টি নদীর মধ্যে ৫৪টি ভারত থেকে প্রবাহিত আর ৩টি মায়ানমার থেকে আগত। ফারাক্কা চুক্তির মেয়াদ শেষের পথে, তিস্তা চুক্তি হয়নি, হওয়ার সম্ভবনা নেই। প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে অঙ্গিকার কথার কথায় রয়ে গেছে। প্রকৃতির সাথে সম্প্রীতি গড়ে তুলতে না পারলে জীবন ব্যহত হবে। আমাদের নীতিমালা আছে কিন্তু বিকেন্দ্রীকরণ না হওয়ায় এর বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নদী অববাহিকায় অবস্থানের কারণে নদী ব্যবস্থাপনায় আমরা কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। শনিবার ৪ জুন ২০২২ সকাল-১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া (২য় তলায়) অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত মূলপত্র উপস্থাপন করার কথা ছিল ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপির, অসুস্থ্যতার কারণে তার পক্ষে মূল পত্র উপস্থাপন করেন জাতীয় কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ। আলোচনায় আরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল ‘তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের নেতা পলিটব্যুরো সদস্য অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হাক্কানীর, তিনি আসতে না পারায় তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন। আরো বক্তব্য রাখেন রিভারাইন পিপল মহাসচিব শেখ রোকন । সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ও জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মাহমূদুল হাসান মানিক। শেখ রোকন বলেন, রাজনীতির ক্ষমতা বদলের সাথে সাথে দখলদারও বদলে যায়। এর সাথে রাজনীতি সম্পর্ক রয়েছে। যেকারণে রাজনৈতিক দলগুলো নদী প্রকৃতি নিয়ে ভাবে না। নদী নিয়ে আমাদের সাংস্কৃতিক বিমুখতা রয়েছে। ব্যারেজ, ডাইভারশন, ড্যাম, অভ্যন্তরীণ দূর্ষণ, বালু মহল, জল মহল দূর্ষণের বাস্তবতা রয়েছে। নদীকে রক্ষা করতে হলে দূর্ষণমুক্ত, দখল মুক্ত করতে হবে। নৌ চলাচলে নদীকে উন্মুক্ত রাখতে হবে। নদীর পানিকে সুপেয় রাখতে হবে। মৎস্য চাষের জন্য নদীর পরিবেশ তৈরী করতে হবে। উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি, পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, কমরেড কামরূল আহসান, কমরেড হাজী বশিরুল আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও পার্টির ঢাকা মহানগর ও বিভিন্ন গণসংগঠনের কেন্দ্রীয় ও শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।

[wps_visitor_counter]