ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের বন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্য (ভিডিওতে ধারণকৃত) প্রচার করা হয়। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান ফজলুর রহমান শেখ কামালের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, শেখ কামাল বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি বলেন, শেখ কামাল যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে আজ আমরা যে জায়গায় পৌঁছেছি, তা অনেক আগেই অর্জন করা সম্ভব হতো। স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে (ভিডিও বার্তায়) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম ক্রীড়া সংগঠক ও বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। মাত্র ২৬ বছরের ক্ষুদ্র জীবনে এ দেশকে তিনি অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। মুক্তিবাহিনীর সুদক্ষ নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরের মধ্য থেকে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত ৬১ জনের মধ্যে শেখ কামাল ছিলেন অন্যতম। তিনি মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা বাহিনীর সংগঠনে ও তাদের প্রশিক্ষণে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনরুদ্ধারে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে কাজ করেছেন। ড. মোমেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলের ভলিবল ও হকিতে শেখ কামালকে সম্পৃক্ত করার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘প্রবল ক্রীড়ানুরাগী ও সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্ব ছিলেন শেখ কামাল। স্কুল জীবন থেকেই তিনি ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।’ স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘শেখ কামালকে নিয়ে অনেক অপপ্রচার করা হয়েছে। শেখ কামাল সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর এডিসি ছিলেন। শেখ কামাল যে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিলেন, এটা কিন্তু বিএনপি, জামাতের সময় কখনো বলা হয়নি। বরং মুছে ফেলা হয়েছে।’