ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭৫ সালে শুধু বঙ্গবন্ধুকে না; তাঁর পরিবারকেও হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে শিশু রাসেলকেও তারা ছাড়েনি। শিশু রাসেলের ছবির দিকে তাকালেই দেখি তাঁর আলোকিত চোখ। হত্যাকাণ্ডের সময় রাসেল বলেছিল ‘আমি মায়ের কাছে যাব। আমাকে মেরোনা; আমি কখনো পরিচয় দিব না।’ তারপরও ঘাতকরা শিশু রাসেলকে ছাড়েনি। তিনি বলেন, শেখ রাসেল সমস্ত পৃথিবীর শিশুদের মানবিকতার প্রতীক হয়ে উঠছে। পৃথিবী যদি সত্যিই মানবিকতার কথা বলে-তাহলে সমগ্র পৃথিবী একদিন শেখ রাসেল দিবস পালন করবে। প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলামটরস্থ বিআইডব্লিউটিসি কার্যালয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম লায়লা জেসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সাজেদুল ইসলাম। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না-সে লক্ষ্যে অধ্যাদেশ জারি এবং পরে তা আইনে পরিণত করা হয়। এর থেকে দুর্ভাগ্য দেশের জন্য, জাতির জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য কিছুই হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও তাঁর পরিবারের হত্যার বিচারের রায় কাযর্কর করা হয়েছে, যারা পলাতক আছে তাদের বিচারের দাবিতে দেশে আনার চেষ্টা চলছে, উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুনিরা দেশকে এবং দেশের মানুষকে এগোতে দেয়নি, আমরা সেই খুনিদের বিচার করতে পেরেছি বলেই অপরাধীদেরকে দমন করতে পেরেছি, তাই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
অনুষ্ঠানে শহিদ শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য দোয়া করা হয়। এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিআইডব্লিউটিসি কার্যালয়ে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।