ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সম্পাদক ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা সম্পর্কে ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতি

প্রকাশিত : মার্চ ৩১, ২০২৩ , ৯:৩৪ অপরাহ্ণ

ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো শুক্রবার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে দৈনিক প্রথম আলোর ফেসবুকে প্রচারিত ও পরপরই প্রত্যাহার করা এক প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে প্রথম আলোর প্রতিবেদককে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মধ্যরাতে তুলে নেয়া ও ত্রিশ ঘন্টা পর আদালতে হাজির ও জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে প্রেরণ, প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা প্রদানের গত কয়েকদিনের ঘটনাবলীতে গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে। ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, আইনমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন স্তর থেকে বারবার কথা হয়েছে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের হয়রানী করা হলে এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ থাকলে তা যাচাই করার জন্য সেলে পাঠানো হবে। অথচ এই ক্ষেত্রে তার বরখেলাপই করা হলোনা কেবল এ নিয়ে যে সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে নিপীড়নের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করার আরেকটি উদাহরণ তৈরি হয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম আলোর কথিত প্রতিবেদনটি যদি উদ্দেশ্য প্রণোদিতও হয় তবে তার প্রতিকারের জন্য প্রেস কাউন্সিলের আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিধান রয়েছে। সে পথ না অনুসরণ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এহেন ব্যবহার সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিত্যনতুন চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দেশী-বিদেশী মহল সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা খর্ব করার যে অভিযোগ করে চলেছে, প্রকারান্তরে তাদের হাতকেই শক্তিশালী করা হল। ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে একই সময় নওগাঁও র‌্যাবের হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা রুজু করা ও যুগান্তরের ২ জনের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইন মামলা রুজু করার বিষয়সমূহ উল্লেখ করা হয়। ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, পার্টি একারণেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নিপীড়ন মূলক ধারাসমূহ বাতিলের দাবী করেই আসছে এবং এখনও করছে। এবং আশা প্রকাশ করেছে ডিজিটাল আইন ব্যবহারসহ সংবাদপত্রের ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার হরণ করে এমন কার্যক্রম থেকে সরকার বিরত থাকবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।

[wps_visitor_counter]