গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা পেশার জবাবদিহিতায় প্রেস কাউন্সিলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪ , ১০:৩৬ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা পেশায় জবাবদিহিতা আনতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের এর ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষকী ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার মূল কাজ কর্তৃপক্ষ ও সরকারকে জবাবদিহিতায় আনা। সমাজের দর্পণ হিসেবে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি, ভালো-মন্দ সবকিছু তুলে ধরা। কিন্তু অন্যান্য পেশার মতো এ পেশার মধ্যেও অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার নামে অপসংবাদিকতা, পেশাদারিত্বের জায়গায় অপেশাদারি মনোভাব দেখা যায়। যারা সমাজের সর্বক্ষেত্রে সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনবেন, সে পেশায়ও কিছুটা জবাবদিহি থাকার প্রয়োজন আছে। সে জায়গায় প্রেস কাউন্সিলের মতো প্রতিষ্ঠানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
অধ্যাপক আরাফাত আরও বলেন, যারা পেশাদারিত্বের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করে আসছেন। তারাও চান এ পেশার মধ্যেও একটা স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং এক ধরনের শৃঙ্খলা থাকুক। তিনি বলেন, সাংবাদিকতাকে অপব্যবহার করে কোনো গোষ্ঠী যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। সেখানে প্রেস কাউন্সিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রেস কাউন্সিল আইন আরো যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। সরকারের উদ্দেশ্য গণমাধ্যমকে আরো স্বচ্ছ, সুন্দর এবং শক্তিশালী করা। গণমাধ্যমের স্থান যাতে সংকুচিত না হয়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ যাতে নিশ্চিত হয়, গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা যাতে আরো উন্মুক্ত হয় সেটিই সরকারের উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব এবং গণমাধ্যমবান্ধব। গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটেছে এবং এ সময়ে উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে। প্রতিমন্ত্রী আরো যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে আমাদের মৌলিক জায়গা হচ্ছে এ দেশে গণতন্ত্র থাকতে হবে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। এটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, অপতথ্য রোধ করতে গিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জায়গা যেন সংকুচিত না হয়।

[wps_visitor_counter]