দক্ষ ও স্মার্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে হবে

প্রকাশিত : মার্চ ৬, ২০২৪ , ৮:১২ অপরাহ্ণ

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের চেয়ে একটু ভিন্ন। একসময় পশ্চাৎপদ জনপদ ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামে দুই যুগেরও বেশি সময় চলমান ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত নিরসনে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেন। পার্বত্য অঞ্চলের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করার জন্যই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এখন দক্ষ ও স্মার্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। এ কাজে জেলা প্রশাসকসহ সকলকে নিবেদিত হতে হবে। বুধবার (৬ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জেলাপ্রশাসক সম্মেলন-২০২৪’ এর চতুর্থ দিনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য অধিবেশনে প্রতিমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের এ আহ্বান জানান। অধিবেশন শেষে মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষকে একীভূত করে সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, যেসব দুর্গম পার্বত্য এলাকায় জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড পৌঁছানো সম্ভব নয়, সে সমস্ত এলাকায় সরকার সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার সোলার প্যানেল স্থাপন করে আড়াই লাখ দুর্গম পার্বত্য মানুষের কাছে বিদ্যুতের সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। এছাড়া খুব শিগগিরই আরো ১ লাখ সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে ৫ লাখ দুর্গম মানুষকে বিদ্যুতের সুবিধায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় পানির সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের বনায়নকে ফিরিয়ে আনতে উজার হওয়া বনগুলোতে নতুন করে গাছপালা লাগানো হচ্ছে। পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ইতোমধ্যে ভূমি কমিশন আইন করা হয়েছে। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে ভূমি কমিশনের প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে। এখন বিধির কাজ চলছে। বিধি হয়ে গেলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা অনেকাংশে কমে যাবে। অধিবেশনে সভাপতিত্ব ও পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

[wps_visitor_counter]