পুরো স্বাস্থ্যখাতকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : জুন ২, ২০২২ , ৮:৩৩ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা দেখিয়ে দিয়েছে অনলাইন প্রযুক্তি কতটা জরুরি ও কার্যকর একটি বিষয়। এ বিষয়টি অনুধাবন করেই এবার পুরো স্বাস্থ্য বিভাগকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রী বৃহস্পতিবার মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও নবনির্মিত আইসিইউ-২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার অবদানের ঋণ কখনোই শোধ হবে না। জাতির পিতার জন্ম না হলে আমরা আজ স্বাধীন জাতি হিসেবে কথা বলতে পারতাম না। সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে তিনি বেশ কিছু হাসপাতাল ও ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখন জাতির পিতার কন্যা দেশের গোটা স্বাস্থ্যখাতকে আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তার কারণেই করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে ৫ম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ১ম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের মাত্র ৬ হাজার চিকিৎসা বেডকে এখন ৬০ হাজার বেডে পরিণত করেছেন। ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন । সেখানে সাধারণ মানুষ এখন ৩২ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে পাচ্ছে। এ সময় টিবি চিকিৎসা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিবিতে আগে দেশে বছরে ৭০ হাজার মানুষ মারা যেত। এখন সেটি কমে ৩০ হাজারে নেমেছে। তবে এই হার শূন্যের কোঠায় আনতে আরো পরিশ্রম করতে হবে। তিনি জানান ৮ বিভাগে ৮টি উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপনসহ দেশে স্বাস্থ্যসেবায় এখন পর্যাপ্ত চিকিৎসা কেন্দ্র করা হয়েছে। সেই তুলনায় এখন জনবল ঘাটতি রয়েছে যা করোনার কারণে আরো বেড়ে গেছে। এখন জনবলের ঘাটতি পূরণে কাজ করতে হবে। তাহলে চিকিৎসাসেবায় বাংলাদেশ আর পিছনে পড়ে থাকবে না বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মুঃ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম. আবদুল আজিজ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শামিউল ইসলাম সাদি।

[wps_visitor_counter]