জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩ , ৯:১৪ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ দেশব্যাপী ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৩’ উদ্‌যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গ্রন্থগারের সেবাদান কার্যক্রমও উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে। আমরা সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার গড়ে তোলা এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে এবং পাঠক, গবেষক, তথ্য আহরণকারী ব্যক্তিবর্গসহ সর্বসাধারণের কাছে গ্রন্থাগারের ভূমিকাকে আরো অধিক আকর্ষণীয় ও যুগোপযোগী করে তোলার জন্য দেশের ১০০০টি সরকারি ও বেসরকারি গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুজিব কর্নার স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। যেখানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইসমূহ সংগ্রহে রাখা হয়েছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম বইসমূহ পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসন জানার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের দেশের গ্রন্থাগারসমূহ তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আন্তর্জাতিক মানের গ্রন্থাগারসমূহের মতো উন্নত এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রন্থাগারগুলিকে ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরসহ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার-কে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-সম্বলিত এবং অত্যাধুনিক ও নান্দনিক গণগ্রন্থাগার ভবনে বাস্তবায়নের নিমিত্ত ‘গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জাতির পিতার পৈত্রিক নিবাস গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে ‘শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র’ নামে একটি অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তাছাড়া ‘চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স’ নির্মাণ প্রকল্পের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের মাধ্যমে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর বই নিয়ে প্রতিটি জেলার পাঠকের দোরগোড়ায় পৌছে গেছে। গ্রন্থাগারের জনবলকে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমাধিসৌধ গ্রন্থাগারটিকে একটি আধুনিক দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগার হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। স্কুল পর্যায়ে লাইব্রেরি-ঘণ্টা চালুর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরিতে পড়াশুনার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্টদের মনোযোগী হতে হবে। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদ্‌যাপন গ্রন্থাগার ব্যবহারে দেশের মানুষকে আরো উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সহযোগী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৩’- এর সকল কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন কামনা করছি ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]