হাওড়ের ফসল কৃষকের ঘরে তুলে দেওয়াই সরকারের প্রধান লক্ষ্য

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১১:২০ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের মুখে স্থায়ী হাসি দেখতে চান। তিনি নিয়মিত হাওড় অঞ্চলের কার্যক্রম মনিটরিং করছেন। তিনি বলেন, হাওড়ের কৃষকের ফসল ঘরে তুলে দেওয়াই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। কৃষি ও কৃষক-বান্ধব সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বসেরা। বুধবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার নজরখালী বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। উপমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে ধান উৎপাদনে ৩য়, সবজি উৎপাদনে ৩য়, আম উৎপাদনে ৭ম, কাঁঠাল উৎপাদনে ২য়, আলু উৎপাদনে ৭ম, পেয়ারা উৎপাদনে ৮ম, ফসলের জাত উদ্ভাবনে প্রথম, পাট উৎপাদনে ২য়। এছাড়া মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে ৩য় ও ইলিশ উৎপাদনে প্রথম। বর্তমান সরকার কৃষি গবেষণা জোরদার করেছে। ফলে ধান, গম, পাট, সবজি ও ফলের কয়েক শত উন্নত জাত উদ্ভাবন ও কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ হয়েছে। বর্তমানে শুধু ধানের উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাত রয়েছে ১০০ টির উপরে। এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডেল্টা-প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহা-পরিকল্পনার ৮০ ভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এটি বাস্তবায়িত হলে সারা দেশে নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনও সমস্যাই থাকবে না। তিনি বলেন, হাওড় অঞ্চল রক্ষায় স্থায়ী প্রকল্প করা হচ্ছে। আর নদী ভাঙন ঠেকাতে সারা দেশে বিভিন্ন স্থায়ী প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও সারা দেশে নদী ভাঙন এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে স্থায়ী বাঁধ প্রশস্ত-করণ এবং বনায়নও করা হচ্ছে। সুনামগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, ২৬ জন কর্মকর্তা নিয়মিত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আগামী ৭ মার্চ এখানেই অফিস করবেন। কোনও গাফিলতি সহ্য করা হবে না। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মল্লিক সাঈদ মাহবুব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এম শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খুশী মোহন সরকার, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ প্রমুখ। পরে উপমন্ত্রী জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধী-জনদের সাথে মতবিনিময় করেন।

[wps_visitor_counter]