বিদ্রোহী কবিতা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সম্পদ

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১:১৭ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিদ্রোহী কবিতা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সম্পদ। কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আধুনিক বাংলা কবিতার একশ বছরের ইতিহাসের মসৃণ পথচলাকে আমূল বদলে দিয়েছিল। কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে গর্বিত করেছেন। মন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নজরুল উৎসব ২০২৩ উপলক্ষ্যে বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটি আয়োজিত বিশিষ্টজনদের মধ্যে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা হিসেবে বাঙালির আত্মপরিচয় বিনির্মাণের ক্ষেত্রে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে কাজী নজরুল ইসলামের তেজোদীপ্ত কবিতা, গান ও সাহিত্য আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাগরণের কবি নজরুল ইসলামের দর্শন দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর তাঁর নিজস্ব উদ্যোগে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয়, তিনি কবি রচিত ‘চল্ চল্ চল্, ঊর্ধ্ব গগণে বাজে মাদল’ গানটিকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর রণসঙ্গীত হিসেবে নির্ধারণ করেন। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ২৫ মে কবির ৭৩তম জন্মদিন পালনের উদ্দেশ্যে ২৪ মে তাঁকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে সপরিবারে ঢাকায় নিয়ে এসে নাগরিকত্ব প্রদান এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে জাতীয় কবিকে ডি লিট উপাধি প্রদান করা হয়। মন্ত্রী বলেন, নিপীড়িত মানুষের বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে ধর্মমত নির্বিশেষে সকল বাঙালি মিলেমিশে সমতার ভিত্তিতে একটি নতুন সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সাম্যবাদের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। সেটাই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’-এর ভিত্তি। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহমেদ শরীফ চেয়ার অধ্যাপক প্রফেসর আবুল কাশেম ফজলুল হক,সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূইয়া, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যন মো: সবুর খান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দৌহিত্র খিল খিল কাজী, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, শত শহীদ মিনার নির্মাণ উদ্যোক্তা আবদুল সালাম চৌধুরী, সমাজ সেবক ইঞ্জিনিয়ার মো: ফজলুল হক এবং বিশিষ্ট আবৃ্ত্তিকার রেজাউল হোসেন টিটো মুন্সিকে নজরুল সম্মাননা প্রদান করা হয়।

[wps_visitor_counter]