শহিদ ছাত্রনেতা সেলিম ও দেলোয়ারের ৩৯তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ৭:০০ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারি শহিদ ছাত্রনেতা সেলিম ও দেলোয়ারের ৩৯তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ২৮ ফেব্রুয়ারি এক ইতিহাসিক দিন। ১৯৮৪ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছাত্রলীগ নেতা সেলিম ও দেলোয়ার স্বৈরাচার বিরোধী মিছিলে অংশ নিয়ে পুলিশের ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন। আমি শহিদ ছাত্রনেতা সেলিম ও দেলোয়ারসহ গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁরই নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর আমরা কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে দেশে আবারো গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করে। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসনের। এদেশের ছাত্র সমাজ সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর শহিদ সেলিম ও দেলোয়ারের মৃত্যুতে ঢাকাসহ দেশব্যাপী গণতন্ত্রকামী মানুষের মিছিলে প্রকম্পিত হয় রাজপথ, বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারাদেশ। ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে স্বৈরাচারের পতন ত্বরান্বিত হয় এবং ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।
ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফলে দেশে ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলে সচেষ্ট থাকবেন – এটাই আমার প্রত্যাশা।
আমি শহিদ ছাত্রনেতা সেলিম ও দেলোয়ার এর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]