জাতীয় চা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রকাশিত : জুন ৩, ২০২৩ , ৫:১৭ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন রবিবার ৪ জুন ‘জাতীয় চা দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় চা দিবস’ উপলক্ষ্যে আমি চা শ্রমিক, মালিকসহ এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
চা সারাবিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে প্রথম চা চাষ শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তৎকালীন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান ছিলেন। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নে চা গবেষণায় বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। বঙ্গবন্ধু মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে ল্যাবরেটরি ও লাইব্রেরি স্থাপনের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এছাড়া স্বাধীনতার পর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চা শিল্প পুনর্গঠনে বাগান মালিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ও অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে শ্রীমঙ্গলস্থ ‘টি রিসার্চ স্টেশন’-কে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা ইনস্টিটিউটে উন্নীত করেন যা বর্তমানে ‘বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (BTRI)’ হিসেবে দেশের চা গবেষণার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এক সময় চা ছিল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০১৭ সালে ‘উন্নয়নের পথনকশা: বাংলাদেশ চা শিল্প’ অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া চা শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন চা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধিসহ তাদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বাসস্থান, শৌচাগার ও নলকূপ স্থাপন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে এ বছর চা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ চা শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে – এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘জাতীয় চা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।
জয় বংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]