মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রকাশিত : জুন ২৫, ২০২৩ , ৯:৫৮ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৩ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বিশ্বকে মাদকমুক্ত করার অঙ্গীকার নিয়ে ১৯৮৭ সালের ৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে এই দিবসটি প্রতিবছর যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। আমি বাংলাদেশে এ দিবসটি D`&hvc‡bi সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে বিশ্বের বৃহৎ মাদকবলয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল’ ও ‘গোল্ডেন ক্রিসেন্ট’ এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হওয়ায় মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হওয়া সত্ত্বেও মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারের জন্য আমাদের দেশ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিকশিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে, আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল যোগ্যতা অর্জন করেছি। এ অর্জনের ক্ষেত্রে দেশের যুব সমাজ মূল চালিকা শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে যুবসমাজকে মাদকের অপব্যবহার থেকে দূরে রাখার কোন বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রুখতে বদ্ধপরিকর। তাই আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধেও ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি প্রয়োগ করে যাচ্ছি। দেশের শিক্ষা কারিকুলামে মাদক সংক্রান্ত বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়াবলী অন্তর্ভুক্ত করে ছাত্রছাত্রীদেরকে মাদকের অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করতে বাস্তবধর্মী কর্মসূচি নিয়েছি। পাশাপাশি ইতোমধ্যে মাদকাসক্ত হয়ে পড়া তরুণদের সুস্থ জীবনধারায় ফিরে নিয়ে আসতে সরকারি ও বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রেগুলোর চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আমরা সরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোর সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ করে দিচ্ছি। তাছাড়া, বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্রসমূহকে সরকারি অনুদান প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করছি এবং তাদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় এনে সেবা প্রদান ব্যবস্থাপনা আরো কার্যকর করছি।
আমি মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাই। আমার বিশ্বাস, রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি, সামাজিক দায়বদ্ধতা, পারিবারিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিপালনের মাধ্যমে দেশ থেকে মাদকের অপব্যবহার এবং অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য পাচার নির্মূল করা সম্ভব। আমরা মাদক মুক্ত সুস্থ জীবনের অধিকারী তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনী শক্তি এবং কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ্ ।
আমি মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]