ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রকাশিত : জুলাই ৯, ২০২৩ , ৭:৩১ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে উদ্‌যাপিত ‘ডিএমসি ডে-২০২৩’-এ কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে ধারাবাহিকভাবে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছি। সারাদেশের প্রায় ১৮,৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন এবং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে অ্যান্টিবায়োটিক, ডায়াবিটিস ও উচ্চরক্ত চাপের ঔধষসহ ভিন্ন ভিন্ন পদের ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রান্তিক জনগণের মধ্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গত কয়েক বছরে দশ হাজারেরও অধিক সংখ্যক যোগ্য ও দক্ষ সরকারি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে সকল হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ও প্রয়োজনীয় গবেষণা কর্মকান্ড সম্প্রসারিত করতে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়েছে। দেশেই এখন আধুনিক ও উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে মানুষকে যেন দেশের বাইরে যেতে না হয়, সেজন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল’। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নাম। এ ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে চিকিৎসকগণ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। আমি আশা করি, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সকল চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী দেশ ও মানব সেবার মহান ব্রত নিয়ে ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে অবদান রাখার মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়তে আরো তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
আমি ‘ডিএমসি ডে ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]