গণপ্রকৌশল দিবস ও আইডিইবি’র ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রকাশিত : নভেম্বর ৭, ২০২৩ , ৫:২৭ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বুধবার ‘গণপ্রকৌশল দিবস ২০২৩’ ও ‘ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’-এর ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“গণপ্রকৌশল দিবস ২০২৩ ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি আইডিইবি’র সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। সরকারের এ বিশাল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জাতির উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের পাশাপাশি কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ আধুনিক প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে একটি দেশকে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করে। তাই দারিদ্র্য বিমোচনে প্রচলিত কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বিকল্প উৎসকে উৎসাহিত করতে সরকার নতুন নতুন ধারণার উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা বিকাশে গুরুত্ব দিয়েছে। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে, যাদের বড় অংশই হবেন উদ্যোক্তা। প্রেক্ষিতে গণপ্রকৌশল দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা নীতি’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পূর্বশর্ত। সম্ভাবনাময় যুবকদের ব্যবসা সংক্রান্ত নিয়মনীতি ও পদ্ধতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, কর্মসংস্থান খাতসমূহের বিকাশ ও প্রয়োজনীয় জনমত গঠনে সরকারি-বেসরকারি সকল অংশীজনের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। আইডিইবি’র প্রকৌশলীগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রাখার পাশাপাশি একটি উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনবান্ধব বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর অবদান রাখবেন- এ প্রত্যাশা করি।
আমি আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবসের সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]