শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে

প্রকাশিত : নভেম্বর ৭, ২০২৩ , ৮:১৬ অপরাহ্ণ

গোসাইরহাট, শরীয়তপুর, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শরীয়তপুরসহ আশপাশের অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য গোসাইরহাট-পট্টি নদীবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি যেহেতু ব্যাপক এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে গোসাইরহাট ও শরীয়তপুরের এই অঞ্চল পিছিয়ে থাকবে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পায়রা, মংলা, চট্টগ্রাম ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর-সব কিছুর সাথে এই নৌপথ যুক্ত থাকবে। এই এলাকার আগামী দিনের অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া পর্যন্ত অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। তিনি পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, থার্ড বিমান বন্দর টার্মিনাল নির্মাণ করেছেন। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কার কারণে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রতিমন্ত্রী আবারও নৌকা মার্কায় আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান। প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার (৭নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটে নবঘোষিত গোসাইরহাট-পট্টি নদী বন্দরের উদ্বোধন শেষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।
খালিদ মাহমুদ বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে এই এলাকাগুলো এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল জায়গাটা হচ্ছে নৌপথ। এই নৌপথ যাত্রীদের থেকেও ব্যবসা-বাণিজ্য জোগান দেবে বেশি। যখন নদীবন্দর হয়ে যাবে তখন বিআইডব্লিউটিএ চ্যানেল ঠিক করার জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করে যাবে। তিনি বলেন, আমরা অনেকগুলো ড্রেজার সংগ্রহ করেছি, বাংলাদেশে এখন অনেকগুলো ড্রেজার আমাদের সংরক্ষণে আছে সরকারি পর্যায়ে এবং বেসরকারি পর্যায়ে। নৌপথ সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন কার্যক্রমের মধ্যে এই নৌ পথটি একটি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় চায় নদীকেন্দ্রিক এই জেলার মানুষ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা যেন পায় সেই জায়গাটা আমরা তৈরি করতে চাই, তারও একটি অংশ এই নদী বন্দর। ভবিষ্যতে বিআইডব্লিউটিএ এর আরো অনেক কার্যক্রম আমরা এই শরীয়তপুরে দেখতে পারব। ভবিষ্যতেও এই নদী বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ করতে যা যা দরকার তা আমরা করবো। এসময় এই নৌ বন্দর নির্মাণে স্থানীয় সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের অক্লান্ত প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আপনারা খুব সৌভাগ্যবান যে নাহিম রাজ্জাক এর মতো একজন জনপ্রতিনিধি পেয়েছেন। শরীয়তপুরের মধ্যে প্রান্তিক পর্যায়ে তিনি একটি নৌবন্দর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের থেকে আদায় করেছে এবং এটি বিআইডব্লিউটিএ এর ৪৫ তম নৌ বন্দর। উল্লেখ্য, শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলা এবং পৌরসভা সংলগ্ন জয়ন্তী নদীর অববাহিকায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক স্থাপিত পট্টি নদী বন্দরের সংরক্ষক বিআইডব্লিউটিএ। গোসাইরহাট-পট্টি নদী বন্দর এলাকাটি গোসাইরহাট উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। গোসাইরহাট-পট্টি নদী বন্দর এলাকার গোসাইরহাট-পট্টি লঞ্চঘাট থেকে বর্তমানে ঢাকা- চাঁদপুর- হাটুরিয়া-পট্টি-ডামুড্যা নৌপথে এবং ঢাকা-হাটুরিয়া-পট্টি-ডামুড্যা নৌপথে প্রতিদিন ৩টি করে মোট ৬টি দোতলা লঞ্চ চলাচল করে। গোসাইরহাট-পট্টি লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০টি ট্রলার যোগে বিভিন্ন ধরনের মালামাল চাঁদপুর এবং স্থানীয় চরাঞ্চলে পরিবহন করে থাকে। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে পট্টি, হাটুরিয়া ও ডামুড্যা লঞ্চঘাট থেকে ইজারার মাধ্যমে সরকারের ১৮ লাখ টাকা আয় হয়েছে।

[wps_visitor_counter]