জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রকাশিত : নভেম্বর ১৩, ২০২৩ , ৫:২৬ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’ প্রদান উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’ প্রদান উপলক্ষ্যে আমি পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, প্রযোজক, পরিবেশক, দর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দেশে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস। অমিত শক্তিশালী গণমাধ্যম চলচ্চিত্র মানুষকে আনন্দ দেয়, ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং আশা-আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে মানুষকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে। একটি ভালো চলচ্চিত্র মানবিক গুণাবলির বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। এছাড়া চলচ্চিত্র মাটি ও মানুষের কথা বলে; মানুষের স্বপ্ন ও সাধনাকে সেলুলয়েডে বন্দি করে পর্দায় ফুটিয়ে তোলে। চলচ্চিত্রের অপরিমেয় শক্তির কথা অনুধাবন করেই স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তদানীন্তন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রমমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ১৯৫৭ সালের ২৭ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে ইপিএফডিসি বিল উপস্থাপন করেন, যা সে বছরের ৩ এপ্রিল পাস হয়। জাতির পিতার এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলা চলচ্চিত্রের অগ্রযাত্রার একটি মাইলফলক হিসেবে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বিএফডিসি। জাতির পিতার প্রদর্শিত পথ ধরে সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ৩ এপ্রিল ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’ এবং চলচ্চিত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা, কবিরপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্থাপন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, বিএফডিসির আধুনিকায়ন এবং জেলায় জেলায় আধুনিক সিনেপ্লেক্স সংবলিত তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া পুরানো সিনেমা হলসমূহের সংস্কার ও বন্ধ সিনেমা হলসমূহ চালু করার লক্ষ্যে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদানের জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন, চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন প্রদান এবং সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সুষ্ঠুভাবে প্রদর্শনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩’ প্রণীত হয়েছে। সরকারের যুগোপযোগী উদ্যোগে ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সুস্থধারার বিনোদনমূলক চলচ্চিত্র নির্মাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দর্শক প্রেক্ষাগৃহমুখী হতে শুরু করেছে। দেশের চলচ্চিত্র বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শন ও প্রশংসিত হচ্ছে। আমি আশা করি, সরকারের পাশাপাশি চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, প্রযোজক, পরিবেশক, দর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্যোগে বাংলা চলচ্চিত্র স্বমহিমায় প্রস্ফুটিত হবে।
আমি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]