বাংলাদেশ ভারত একযোগে কাজ করার জন্য সহযোগিতামূলক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে

প্রকাশিত : নভেম্বর ১৫, ২০২৩ , ৯:৪৩ অপরাহ্ণ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভারতে সহযোগিতা কামনা করে বলেন, সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এমন সব পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে দুই দেশ এক সাথে কাজ করতে পারে। তিনি আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যাপক অবকাঠামো ডিজাইনসহ খাত-ভিত্তিক আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিনির্ভর ডেটা চালিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দেন। এসব ক্ষেত্রগুলোতে একে অপরকে সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বুধবার (১৫ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে বিশ্বব্যাংকের এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: এ ভিশন ফর ইফিসিয়েন্ট, ট্রান্সপারেন্ট এন্ড অ্যাকাউন্টেবল ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ভারতের ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি মাস্টারপ্ল্যান’ একটি চমৎকার উদ্যোগ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ মাস্টারপ্ল্যান বুঝতে হবে এবং এ ব্যাপারে সহযোগিতামূলক পদ্ধতি ও উপায় খুঁজে বের করতে হবে।তিনি সহযোগিতামূলক সম্পর্কের প্রসার ও উদ্যোগ গ্রহণে চারটি প্রস্তাব করেন। প্রথমত, ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি’ এর নীতি কাঠামো সম্পর্কে জানার সুযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আইসিটি বিভাগ হতে পারে সমন্বয়কারী মন্ত্রণালয়। ডিপিআইআইটিকেও অনুরোধ করা যেতে পারে কারা সমন্বয়কারী হবে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মের মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা ও পেশাজীবীদের ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি মাস্টারপ্ল্যান’ এর ওপর প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য আমাদের স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমিকে (এসএলএ) যুক্ত করা যেতে পারে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা এবং বিনিময় কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে। অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে, যেখানে দুই দেশের নির্বাচিত বিশেষজ্ঞ ও অতিথিরা অংশগ্রহণ করবেন। তৃতীয়ত, আমাদের দুই দেশের মধ্যে প্রকল্প রয়েছে এবং এতে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তির প্রথম আন্তর্জাতিক আউটরিচ হতে পারে বাংলাদেশ। চতুর্থত, আইসিটি বিভাগের সচিব, বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক এবং ইডিজিই প্রকল্প পরিচালকের সমন্বয়ে একটি টিম সহযোগিতামূলক ক্ষেত্র চিহ্নিত করে কীভাবে কাজ দ্রুত শুরু করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করবে। বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল সেক্রেটারি সুমিতা দেওরা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ কামরুজ্জামান, ইডিজিই প্রকল্পের পরামর্শক এনামুল কবির এবং আর্কিটেক্ট হাসান উজ্জামান।

[wps_visitor_counter]