জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪ , ৬:৫৮ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন শুক্রবার ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৪’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সমৃদ্ধি চাই; নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করি। জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়; তেমনি অনিরাপদ খাবার গ্রহণের কারণে দেহে নানাবিধ মরণব্যাধি বাসা বাঁধে। জনস্বাস্থ্য ও খাদ্যের পুষ্টিমানের গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও নিরাপদ খাদ্যের জন্য প্রয়োজন খাদ্য উৎপাদনে নিরাপদ প্রযুক্তি ও নিরাপদ খাদ্য উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম আরও বেগবান করা জরুরি। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত নজরদারি এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আমি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে সকলের জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ। সরকার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্তি, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এসকল কর্মসূচির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস। মেধা ও মননে একটি উৎকর্ষ ও কর্মক্ষম জাতি গঠনে সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাই হোক জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে আমাদের সকলের অঙ্গীকার।
আমি ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]