কৃষিবিদ দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪ , ৮:২১ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘কৃষিবিদ দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“কৃষিবিদ দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আমি দেশের সকল কৃষিবিদকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
কৃষিই বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির প্রাণ। মানব সভ্যতার সৃষ্টি থেকেই মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে স্বাধীনোত্তরকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি শিক্ষা, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও কৃষির উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকুরিতে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও কৃষির উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাধীন দেশের প্রথম বাজেটে কৃষিখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেখেছিলেন। জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষির সার্বিক উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। ফলশ্রুতিতে আমরা এখন দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পাশাপাশি শাকসবজি ও ফলমূলসহ মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম ইত্যাদির ব্যাপক উৎপাদন জাতীয় পর্যায়ে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ফলে দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করেও কৃষিজাত পণ্য বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মাথাপিছু জমির পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই চাহিদা পূরণে কৃষি বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের বীজ উদ্ভাবন, উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ উৎপাদনে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়া, কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, উৎপাদন ও বিপণনের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষক ও খামারিসহ সকলকে সচেতন হতে হবে। কৃষি ব্যবস্থাপনায় আধুনিক যন্ত্রপাতি তথা কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং লাভজনক কৃষিতে রূপান্তরের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিতে হবে। আমি আশা করি, কৃষিবিদগণ তাদের জ্ঞান, মেধা ও শ্রম দিয়ে ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে কার্যকর অবদান রাখবেন।
আমি ‘কৃষিবিদ দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত অনুষ্ঠানমালার সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]