বিশ্ব বেতার দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪ , ৮:৩৫ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্ব বেতার দিবস-২০২৪’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে বেতারের শিল্পী, কলাকুশলী, শ্রোতা ও সম্প্রচারকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বেতার দিবসের এবছরের প্রতিপাদ্য ‘শতাব্দী জুড়ে তথ্য, বিনোদন ও শিক্ষা বিস্তারে বেতার (Radio: A Century Informing, Entertaining and Educating)’ বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের প্রাচীনতম ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম বাংলাদেশ বেতার। বাংলাদেশ বেতার সূচনাকাল থেকে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, শিক্ষার প্রসার, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে অনবদ্য ভূমিকা রেখে আসছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে দ্বিতীয় ফ্রন্ট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তি সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা পালন করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ তৎকালীন স্বৈরশাসকের বাধা উপেক্ষা করে ৮ মার্চ বেতারেই প্রচার করা হয়, যা মুক্তিকামী বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করে। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় বাংলাদেশ বেতার এদেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় এবং দেশ ও জনগণের উন্নয়নে আমরা বদ্ধপরিকর। তাই জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার প্রণয়ন করেছে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’। এছাড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’। বেসরকারি খাতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এফএম রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে অডিও ভিজ্যুয়ালসহ ইলেকট্রনিক যোগাযোগে এসেছে নতুন মাত্রা। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বেতারের ভূমিকা প্রশংসনীয়। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে অ্যাপ এবং ওয়েব ব্রডকাস্ট-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান ও সংবাদ দেশের পাশাপাশি বহির্বিশ্বের শ্রোতার কাছে সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বেতারের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আমার- প্রত্যাশা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ বেতার প্রযুক্তির বিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজিত হয়ে আধুনিকতম প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণকে অবহিত ও সম্পৃক্ত করবে।
আমি ‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]