সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম একসঙ্গে পরিচালনা করবে আইসিটি বিভাগ এবং ইউনেস্কো

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪ , ৮:৪৬ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনেস্কো বাংলাদেশ এর প্রধান ড. সুজান ভাইজ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, আইসিটি বিভাগ, এবং ইউনেস্কো একসঙ্গে সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। “ইতোমধ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে এটুআই প্রকল্প, এডুকেশন, ডিজিটাল লিটারেসি, এবং সহনশীল-প্রগতিশীল প্রজন্ম গড়ার জন্য ইউনেস্কো একসাথে কাজ করছে। আগামীদিনে এআই সম্পর্কে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনের নেতৃত্ব, ও ব্যবসায়ীদের আরো বেশী সচেতন করে তোলার পাশাপাশি আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের এআই সম্পর্কিত দক্ষতা উন্নয়ন করতে, এবং সাধারণ জনগণের মাঝে আমরা এআই লিটারেসি, সাইবার সিকিউরিটি, প্রয়োজনীয় আইন ও নীতিমালা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য ইউনেস্কোর সাথে আইসিটি বিভাগ একসাথে কাজ করবে। খুব শীঘ্রই আমরা এআই পলিসি প্রণয়ণ করতে যাচ্ছি, এবং তার পরপরই এআই আইন প্রণয়ণ করতে চাই। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ-ইউনেস্কো একসঙ্গে কাজ করবে। ১৮-২৫ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য এটুআই এবং ইউনেস্কো একসাথে কাজ করবে। শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাবের মাধ্যমে এআই শিক্ষাকে বিভিন্ন বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মুখে তুলে ধরার জন্য শিক্ষকদের সচেতন হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আইসিটি বিভাগ, এবং ইউনেস্কো একসঙ্গে সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের এজ প্রকল্পের সাথে এআই লিটারেসি এবং এআই সচেতনতা তৈরির জন্য আমরা পলিটিক্যাল লিডারশিপ, ব্যুরোক্র্যাটিক লীডারশিপ, একাডেমিয়া, এবং ইন্ডাস্ট্রি এই চারটি প্রধান স্টেকহোল্ডারের সাথে চারটি সেশন আয়োজন করা হবে। ২০৪১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার, এবং স্মার্ট সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আইসিটি বিভাগ এবং ইউনেস্কো একসাথে কাজ করবে। আমাদের ৫ কোটি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্মার্ট দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এবং সরকারের সেবাগুলোকে পেপারলেস ও প্রযুক্তির আওতায় আনার জন্য আমরা ইউনেস্কোর সাথে কাজ করতে চাই।”

[wps_visitor_counter]