ভূমি বিষয়ক পুরনো আইনকানুন বাংলায় ভাষান্তরিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪ , ১:০৩ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ভূমি বিষয়ক বিবিধ আইন ও বিধিমালা সংস্কার হচ্ছে। এই সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইংরেজিতে থাকা ভূমি বিষয়ক পুরনো আইনকানুন ও বিধিবিধান বাংলায় ভাষান্তরিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) রাজধানীর এক হোটেলে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অভ্‌ বাংলাদেশ (ট্রাব) ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশন এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা, স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ যখন উর্দুকে তৎকালীন পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করে গণপরিষদে প্রস্তাব পাস করা হলো তখন থেকেই মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াই শুরু। ১৯৪৮ সালে জাতির পিতার প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। বাংলা ভাষার দাবি পরিণত হয় সংগঠিত আন্দোলনে। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শাসকগোষ্ঠীর জারী করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউরসহ আরো অনেকে শহিদ হন। তিনি বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারির সেই গৌরবের সুর বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আজ সারা বিশ্বের মানুষের প্রাণে অনুরণিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আজ সারাবিশ্বের সকল নাগরিকের সত্য ও ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রেরণার উৎস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, জাতীয় চার নেতা-সহ জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের ও ভাষা শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে হঠাৎ শুরু হয়নি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে ২০ বছরেরও অধিক সময় জুড়ে বিভিন্ন ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য করা লড়াইয়ের চূড়ান্ত পরিণতি। আমাদের বাংলা ভাষা আন্দোলন এমনই এক লড়াইয়ের নাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিবৃন্দের মধ্যে ছিলেন সংসদ সদস্য সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজ, রাজউকের চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান মিঞা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ দীদার বখত প্রমুখ। ভূমিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের পর প্রথিতযশা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ সম্মাননা প্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

[wps_visitor_counter]